জাহাঙ্গীর আলম ভূইঁয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারনে পানি বাড়তে থাকায় জেলার ১১টি উপজেলার লাখ লাখ সাধারন মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পরেছে। উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে সড়ক পথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ভাটির জনপদের মানুষ। এছাড়ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান পানিতে ডুবে যাওয়ার কারনে জেলার ৭টি উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। উপজেলা গুলো হল,সুনামগঞ্জ সদর,তাহিরপুর,বিশ্বম্ভরপুর,দোয়ার বাজার,দক্ষিন সুনামগঞ্জ,দিরাই ও ধর্মপাশা। জানাযায়,জেলার সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমান ৭০সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সীমান্তে যাদুকাটা নদী দিয়ে পাহাড়ী ঢলের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় তাহিরপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী বিন্নাকুলি বাজার আংশিক ও আনোয়ারপুর বাজারের সড়ক ও প্রায় ৫০টি দোকান পানির চাপে ভেঙ্গে ভেশেঁ গেছে এছাড়াও নদীর র্তীরবর্তী বসত বাড়ি গুলো রক্ষা করার জন্য এলাকার লোকজন করছে পানির সাথে যুদ্ধ। জেলা কর্মজীর্বি শ্রমিকগন রয়েছে একবাইে বেকার অবস্থায় অসহায়। জেলার পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বাম্ভরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা,মধ্যনগড়,দোয়ারা,ছাতক,দিরাই-শাল্লা ১১টি উপজেলায় ২০হাজার হেক্টরের অধিক রোপা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে মাছের ঘের। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাযেজিদ খান জানান,বন্যায় শিক্ষার্থীদের নিরাপ্তÍার কথা চিন্তা করেই ৭টি উপজেলায় পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে পরবর্তী কাযক্রম গ্রহন করা হবে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন র্বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিকুর রহমান জানান,গত শুক্রবার ২৪ঘন্টায় গড় বৃষ্টিপাত ২০৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরো জানান,আগামী সোমবার পর্য়ন্ত জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত থাকবে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম আখঞ্জি জানান-সকাল থেকে বন্যায় আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বন্যার কারণে উপজেলার দ্বীপ সাদৃশ্য গ্রাম গুলোতে বসবাসকারী মানুষ রয়েছেন উদ্ধেগ আর উৎকন্ঠা মধ্যে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে বাড়ি থেকে বেড় হতে পারছেন না সাধারন মানুষ। সরকারী সহায়তা এখন খুবেই প্রয়োজন। জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলাম জানান,দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সবাই কে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলেছি। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করতে বলা হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় আমরা সবাই প্রস্তুত আছি। জেলা প্রশাসকের কায্যালয়ে নিয়ন্ত্রন কক্ষ খোলা হয়েছে। এখান থেকে জেলার বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করা হবে।